জিয়াউর রহমান
বাংলাদেশের *প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান* (১৯৩৬–১৯৮১) বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন প্রধান নেতা ছিলেন এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি হিসেবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসে বিভিন্ন দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। নিচে তার প্রধান অবদানগুলো তুলে ধরা হলো:

১. *মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব*:

   - *জিয়াউর রহমান* বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম নেতারূপে পরিচিত। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকায় আক্রমণ চালানোর পর, তিনি *চট্টগ্রাম* শহরে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ঘোষণা দেন। ২৬ মার্চ রাতে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের গতি সঞ্চালন করেন।

   - তিনি *বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম নেতা* হিসেবে পরিচিত। তার সাহসী নেতৃত্ব এবং সংগঠনের মাধ্যমে অনেক মুক্তিযোদ্ধা অনুপ্রাণিত হন এবং তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রতীক হয়ে ওঠেন।

২. *বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে রাষ্ট্র পরিচালনা*:

   - *১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর*, জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীতে নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের *জুলাই মাসে* তিনি *প্রধান সেনাপ্রধান* হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশের *প্রেসিডেন্ট* হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

- তার মৃত্যু এবং বিএনপির নেতৃত্বের মধ্যে একটি *রাজনৈতিক শূন্যতা* তৈরি হয়েছিল, কিন্তু তার প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি পরবর্তীতে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল হিসেবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

উপসংহার:

জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ছিলেন। তার অবদানগুলো ছিল মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব, রাষ্ট্র পরিচালনায় দক্ষতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জাতীয়তাবাদী রাজনীতির প্রতিষ্ঠা। তবে তার শাসনামলও কিছু বিতর্কের সৃষ্টি করেছে, বিশেষ করে গণতন্ত্রের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি এবং রাজনৈতিক শাসনের ধরন নিয়ে। তবে, তাকে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় নেতা হিসেবে গণ্য করা হয়।